প্রকাশ: ২০১৮-০৫-০৮ ১৩:৩১:০০ || আপডেট: ২০১৮-০৫-০৮ ১৩:৩৮:৪১
নগরের আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক মুক্তিযোদ্ধা। চট্টগ্রাম দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. রহমত আলীর আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামিরা হলেন- মো. ইসহাক, হাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, জোহরা খাতুন, পাকিজা খাতুন, লায়লা খাতুন এবং আকবর শাহ থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জায়গা থেকে আদালতের আদেশ অমান্য করে মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেনকে উচ্ছেদের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলায় ওসিসহ বিবাদীদের কাছ থেকে ৩ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।
জাহিদ বলেন, মামলাটি গ্রহণ করে আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নগরের আকবর শাহ থানার উত্তর কাট্টলি এলাকায় নিজ জায়গায় ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল থেকে বসবাস করে আসছেন জাকির হোসেন। আদালতের আদেশে জাকিরকে ওই জায়গা বুঝিয়ে দেন এক ম্যাজিস্ট্রেট। স্থানীয় শেখ আহমদের ছেলে আলাউদ্দিন ওই জায়গার মালিকানা দাবি করে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিল বিভাগ বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে যে কোন ধরনের কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও গত ৮ এপ্রিল আকবর শাহ থানার ওসি পুলিশ দিয়ে জোরপূর্বক জাকির হোসেন ও তার পরিবার এবং ভাড়াটিয়াদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে আলাউদ্দিনকে জমি বুঝিয়ে দেন।
আকবর শাহ থানার ওসিকে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি সেটির তোয়াক্কা না করে আলাউদ্দিনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাকির হোসেনের ৩ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকার ক্ষতিসাধন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আকবর শাহ থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘উক্ত জায়গায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আছে এবং আমি আদালতের নির্দেশনা অনুসারেই কাজ করেছি।’
কারো পক্ষে নেওয়ার সুযোগ নেই দাবি করে ওসি মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, তারা আমাকে কেন আসামি করলো বুঝতে পারছিনা।