প্রকাশ: ২০১৮-১১-১৭ ১৮:৫২:৩১ || আপডেট: ২০১৮-১১-১৮ ১১:০১:৩৩
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামে অগ্নিকান্ডে তিনটি পরিবারের চারটি ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হলেও পবিত্র কোরআন শরীফ দুটি অক্ষত রয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পেড়লী গ্রামের দরিদ্র কৃষক আল আমিন মোল্যার রান্না ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে তার বসতঘরসহ পার্শ্ববর্তী নাজির মোল্যার বসতঘর ও শাহীন মোল্যার একটি রান্না ঘর পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত নাজির মোল্যা জানান, শুক্রবার রাতে তাদের তিন পরিবারের সদস্যরা খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টার দিকে আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তাড়াহুড়া করে সবাই ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
তবে ঘরের মধ্যে থাকা ছাগল ও হাসমুরগি ও অন্যান্যা মালামাল বের করার কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি।
আধাঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভায়। আগুনে আল আমিনের একটি ছাগল ও বেশ কয়েকটি হাস-মুরগিসহ তিন পরিবারের সহায় সম্বল সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চার লাখ টাকা বলে দাবি তাদের।
নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহাদুজ্জামান বলেন, অগ্নিকান্ডের খরব শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে নাজির মোল্যার ঘরে তার সন্তানের বই খাতার পাশাপাশি দুটি পবিত্র কোরআন শরীফও রাখা ছিল। আগুনে বইখাতা এবং কোরআন রাখার জন্য কাঠের তৈরি রেহেল পুড়ে গেলেও কোরআন শরীফ দুটি অক্ষত আছে। আগুনের লেলিহান শিখা এর কোনো অক্ষরই পোড়াতে পারেনি।
এ বিষয়ে নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরীফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী।’